রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১
শীতকালীন সবজির মধ্যে বেশ পরিচিত মুলা। কিন্তু মুলা দেখলেই নাক সিঁটকান অনেকেই। অনেকেই মুলার ঝাঁঝালো গন্ধের জন্য খেতে চান না। আবার অনেকেরই খেলে পেটে বায়ুর সমস্যা হয়। তবে মুলার উপকারিতা জানলে অবাক হবেন! ফোলেট, ফাইবার, রাইবোফ্ল্যাবেন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ মুলা নানা রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর:
মুলা ফোলেট বা ভিটামিন বি-এর থাকায় লোহিত রক্তকণিকা সংশ্লেষণে সাহায্য করে। এর ভিটামিন সি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়।
ভারসাম্য বজায় রাখে:
মূলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে, পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতায় সাহায্য করে। এতে ক্যালসিয়ামও রয়েছে, যা কেবল হাড়ের শক্তিই বাড়ায় না, পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপও কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ:
মুলায় রয়েছে গ্লুকোসিনোল্যাটেস নামক এক ধরনের সালফার-সমৃদ্ধ যৌগ, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। ভবিষ্যতে ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন কোষগুলির নির্মূল প্রক্রিয়ায়ও সহায়তা করে এই যৌগ।
হজমে সাহায্য করে:
যারা প্রায়ই বদহজম, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যায় ভোগেন, তারা তাদের খাদ্যতালিকায় মুলা রাখা দরকার। মুলা ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী:
ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়েটে মুলা রাখার চেষ্টা করুন। এই সবজিটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
হার্ট ভালো রাখে:
মুলা অ্যান্থোসায়ানিনের দারুণ উৎস। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ ফ্ল্যাভোনয়েড, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত মুলা খেলে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।