রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১
আপনি উচ্চ রক্তচাপের অর্থাৎ High blood pressure এর রোগী কিনা তা জানতে হলে নিয়মিত ব্লাড প্রেসার মাপাই একমাত্র উপায় কোনো বিপদ এড়াবার কারণ সাধারণত রক্তচাপ বাড়ার কোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়না , তাই বেশিরভাগ মানুষ জানেন ই না যে তার রক্তচাপ কত। হঠাৎ করে কোনো সমস্যা হলে তখন মানুষ জানতে পারে। অর্থাৎ হার্টের কার্যকারীতার উপর নজরদারি চালাতেই হবে সুস্থ থাকতে হলে। আর এই নিয়মিত নজরদারি তখনই সম্ভব যদি নিজের বাড়িতেই রাখা যায় একটা প্রেসার মাপার মেশিন।
১। ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ মাপার সময়ে এক জায়গায় স্থির হয়ে বসুন। নয়ত এই যন্ত্র কিন্তু ঠিক মতো কাজ করবে না। তাই রক্তচাপ মাপার সময়ে শান্ত থাকা জরুরি।
২। রক্তচাপ নির্ণয় যন্ত্রে সাধারণত দু’ধরনের বেল্ট থাকে। এক ধরনের বেল্ট বা কাফ কব্জিতে বেঁধে রক্তচাপ মাপতে হয়। আর এক ধরনের কাফ থাকে, যেগুলো বাহুতে বাঁধতে হয়। এই বাহুতে বাঁধতে হয় যে কাফ কিংবা বেল্ট, সেগুলো নির্ভুল তথ্য দেয়। সেটিই ব্যবহার করুন।
৩) ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপের মাত্রা মাপার সময়ে কথা বলবেন না। কথা বললে উত্তেজনার পারদ চড়ে। তাতে রক্তচাপের মাত্রার ভুল নির্ণয় হতে পারে। রক্তচাপের মাত্রা নির্ণয়ের সময়ে চুপ করে থাকাই উত্তম।
৪) রক্তচাপ মাপার অন্তত ৩০ মিনিট আগে মদ্যপান, ধূমপান করা ঠিক নয়। তেলমশলা খাওয়াও উচিত হবে না। এই ধরনের খাবার, পানীয় খেলে রক্তচাপের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। তার মানে এই নয় যে আপনি উচ্চ রক্তচাপের শিকার। রক্তচাপের সঠিক মাত্রা পেতে, তা মাপার আগে এই ধরনের খাবার খাবেন না।
৫) শরীরচর্চা কিংবা ভারী কোনও কাজের পর রক্তচাপ মাপাও ঠিক হবে না। এই সময়ে এমনিতেই রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে রক্তচাপের মাত্রা নির্ণয় এড়িয়ে চলা ভাল।
স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার ১২০/৮০ হওয়া উচিত যদিও একটু বয়স বাড়লে কমবেশী ১২৫/৮৫ ও স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হয়।
প্রতি মাসে একবার করে যেকোনো সুস্থ মানুষের যার প্রেসার নেই অথচ ৪০ এর উপর বয়স তার প্রেসার চেক করা উচিত। আর যাদের প্রেসার সবে মাত্র ধরা পড়েছে তাদের যদি সম্ভব হয় কিছু দিন ছাড়া ছাড়াই
প্রেসার চেক করা উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
আর যারা দীর্ঘদিন রক্তচাপের সমস্যাতে ভুগছেন তাদের সপ্তাহে একবার বা ১০ দিন ছাড়া একবার চেক করা উচিত।
আপনি যে বয়সেরই হন না কেন ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেছে দেখলে ভয় পাবেন না। যত
তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।