রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১
গর্ভবতী নারীর সঠিক প্রস্তুতি সুস্থ সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বাড়ায়। এমনকি প্রেগন্যান্সি টেস্টের পূর্বেই ভবিষ্যৎ বাচ্চার স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখার জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া যায়। মূলত গর্ভবতী নারী নিজের যত্ন নেয়ার মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ বাচ্চার যত্ন নিয়ে থাকেন।
গর্ভাবস্থায় অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো পেটের বাচ্চাকে ঝুঁকিতে রাখতে পারে, যেমন- অ্যালকোহল সেবন ও ধূমপান। কেবল তা নয়, এসব অভ্যাসে গর্ভবতী নারীও জটিলতায় ভুগতে পারেন। তাই এসময় নিজের ও সন্তানের ক্ষতি করতে পারে এমন অভ্যাসগুলো পরিহারের চেষ্টা করা উচিত, বিশেষ করে গর্ভধারণ প্রচেষ্টার পূর্ব থেকেই বাজে অভ্যাস ছাড়তে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খেলে ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জন করলে সুস্থ সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বাড়বে। এসময় খাদ্যতালিকায় পুষ্টির ভারসাম্য না থাকলে ও কিছু পুষ্টিকর খাবার বেশি পরিমাণে না খেলে বাচ্চার সঠিক বিকাশসাধন ব্যাহত হতে পারে। চিকিৎসকে প্রিনাটাল ভিটামিন লিখে দিলে তাও সেবন করা উচিত।
গর্ভকালে অলসভাবে বসে থাকা উচিত নয়, এসময়টাতেও শারীরিক সক্রিয়তার গুরুত্ব রয়েছে। এসময় আপনাকে স্ট্রেংথ ট্রেইনিং করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে না, কিন্তু আপনি হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন। গর্ভবতী নারীর জন্য কিছু আদর্শ শরীরচর্চা হলো- সাঁতার, হাঁটা, ধীরে দৌঁড়ানো, সিঁড়ি আরোহন ও ইনডোর সাইক্লিং।