রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১
নারীদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে আলোচনা হলেও সাধারণত স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কথা বলতে শোনা যায় না। কিন্তু সুস্থ জাতি গঠনের জন্য নারীর সুস্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নারীদের মধ্যে অন্যতম সর্বাধিক প্রচলিত ক্যানসার হলো স্তন ক্যানসার। পরিবারের কারো স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে আপনারও ক্যানসারটি বিকাশের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।
ইউনাইটেড স্টেটস প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস টাস্ক ফোর্স ৫০ থেকে ৭৪ বছর বয়সি নারীদের প্রতি দুই বছরে ম্যামোগ্রাম স্ক্রিনিং করতে পরামর্শ দিয়েছে। আবার অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বয়স ৪০ হলেই প্রতিবছর একবার ম্যামোগ্রাম করা উচিত।
কিন্তু স্তন ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে চিকিৎসক আরো আগে থেকে ম্যামোগ্রামের পরামর্শ দিতে পারেন। এছাড়া একজন নারী নিজেও স্তন পরীক্ষা করতে পারেন। এক্ষেত্রে স্তনে কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
স্তন ক্যান্সার রোগীদের কখন চিকিৎসকের কাছে আসা উচিত? এ ব্যাপারে ডা. কৃষ্ণা রূপা মজুমদার বলেন, যেসব পরিবারে স্তন ক্যান্সার বা ওভারিয়ান ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, সেসব পরিবারের সদস্যদের ৩০ বছর বয়স থেকেই স্ক্রিনিং-এর আওতায় আসতে হবে। আর যাদের পারিবারিক ইতিহাস নেই, তাদের স্তনে চাকা হলে নিপল দিয়ে রসজাতীয় পদার্থ বের হয় বা নিপলের ভিতরে ঢুকে গেলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। অনেকে আবার চাকা বুঝতে পারেন না। যেমন, যারা একটু বেশি স্বাস্থ্যবান, যাদের ব্রেস্ট একটু হেভি বা যারা কনসিভ করেছেন অথবা ল্যাক্টিটিং মাদার (দুগ্ধবতী মা) তারা অনেক সময় চাকা বুঝতে পারেন না।
সাবান পানিতে একটু ভিজিয়ে স্তনের চারপাশে যদি সার্কেল করে, তাহলেও অস্বাভবিকতা বা চাকা থাকলে সেটা বোঝা যায়। এই পরীক্ষাগুলো সাধারণত আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে করলে ভালো বোঝা যায়।