রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১

প্রধান শিক্ষকদের আচরণ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

জীবন যাপন | কামরুন্নাহার মুক্তা আগস্ট ১৯, ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম
প্রধান শিক্ষকদের আচরণ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

সম্প্রতি  প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে আচরণগত কিছু বিষয়  বারবার সামনে আসছে।

কিছু কিছু প্রধান শিক্ষক  সহকর্মীদের সাথে এমন আচরণ করেন যেন স্কুলটি তার পৈত্রিক সম্পত্তি আর সহকারীরা তার কাছে কামলা খাটতে যায়।

প্রধান শিক্ষকের এহেন আচরনের কারণ কি?

একটা বিদ্যালয়ের সফলতা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অর্জন উপযোগী যোগ্যতা অর্জন করানো।  আর এই কাজের সফলতা নির্ভর করে সহকারী শিক্ষকদের উপর। সহকারীদের কাজের উৎসাহ,  উদ্দীপনা নির্ভর করে প্র/শির উৎসাহ প্রদানের উপর। আর সেই প্র/শিই যদি তাদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করে না দেয়, তাহলে অর্জন জিরো হবে।

একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা টিমওয়ার্ক ছাড়া কখনোই সম্ভব নয়। প্র/শি টিমলিডার, আর সহকারীরা টিমের একটিভ মেম্বার। সবার সমন্বয়ে বিদ্যালয় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছঁবে।

কয়েকদিন আগে কক্সবাজার সদরের সাহিত্যিকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  সহকারী শিক্ষিকা শাকিলা মনছুরের মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হওয়া ক্ষোভের আগুনে ঝলসে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার। অবাক করা বিষয় হচ্ছে এক শাকিলার মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পুরা জেলার সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। বিশেষ করে সদরের সহকারী শিক্ষকরা। শাকিলা মনছুর যেনো সকল সহকারীদের মুক্তির বার্তা দিয়ে নিজে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

এইখানে একটি প্রশ্ন মনে আসে বারবার!! কেনো সহকারীদের সাথে নিষ্টুর আচরণ করতে হবে। তাদের সাথে আন্তরিক আচরণ করে কাজ আদায় করা যায় না..!! তাদের উপর অত্যাচার, নিপিড়ন চালিয়ে কি প্রমাণ করতে চায় প্র/শিরা!!

আমার হাতে ক্ষমতা।  এর চাকায় পিষ্ট করব তোদের!!

আর হ্যাঁ, কথায় কথায় অফিসের/সহকারী শিক্ষা অফিসারের ভয় দেখানো হয়! তাহলে কি মনে করবো, প্র/শিদের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবে পরোক্ষভাবে শিক্ষা অফিসের দায় আছে..!! তাদের আস্কারা পেয়ে পেয়ে প্র/শিরা বেপরোয়া ব্যবহার করে!!  

আরে, তাদের স্নেহ দিন, ভালোবাসা দিন। সুখে দুঃখের অংশীদার হোন, বিনিময়ে সম্মান পাবেন। আন্তরিকতাপূর্ণ পাঠদান পাবেন।

আমিত্ব জাহির করে শিক্ষার মান উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়, এই বিষয়টি বুঝার মতো মানসিক শক্তি সকল শিক্ষকদের মাঝে তৈরি হোক এই প্রত্যাশা করি।

Side banner