রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১
পুত্রবধূ ও শাশুড়ির সম্পর্কে নানা সময় টানাপোড়েন দেখা দেয়। প্রথমদিকে সম্পর্ক ভালো থাকলেও নানা কারণে বউ ও শাশুড়ির মধ্যে দন্দ্ব দেখা দেয়। যা সত্যিই কাম্য নয়। এতে সংসারে খারাপ প্রভাব পড়ে। বউ-শাশুড়ির মনোমালিন্যের কারণে দাম্পত্য সম্পর্কেও ঘুঁন ধরতে শুরু করে। তাই এ বিষয়ে সব নারীদেরই সতর্ক থাকতে হবে।
স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো রাখতে হলে শাশুড়িকেও সম্মান করা উচিত। এতে শ্বশুরবাড়িতে আপনার মর্যাদাও বাড়বে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শাশুড়ি পুত্রবধূর সঙ্গে নানা কারণে খারাপ ব্যবহার করেন। আর এ বিষয় না মানতে পেরে পুত্রবধূও তার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে বসেন। এটি কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। তার সঙ্গে তর্ক করার চেয়ে বরং ভাবুন কীভাবে শাশুড়ির মন জয় করবেন, জেনে নিন কয়েকটি কৌশল-
ভদ্রতা বজায় রাখুন
শাশুড়ির সঙ্গে কখনো অভদ্র আচরণ করবেন না। যে কোনো বিষয় নিয়েই ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিন। ভদ্রতার খাতিরে ও গুরুজন হওয়ায় কখনো শাশুড়ির সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না। দেখবেন নিজ থেকে শাশুড়ি আপনার কদর করবেন।
শিষ্টাচার ভুলবেন না
শাশুড়ি আপনাকে নানা বিষয়ে কটূ কথা শোনালেও আপনি চেষ্টা করুন তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে। ছোটখাট বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে আলাপ করুন ও ধন্যবাদ জানান। এভাবেই শাশুড়ির মন জয় করতে পারবেন আপনিও।
স্বামীর সম্পর্কে ভালো কথা বলুন
স্বামীর সম্পর্কে কখনো শাশুড়ির কাছে খারাপ কথা বলবেন না। ধরুন শাশুড়ির সঙ্গে আপনার সম্পর্ক খুবই ভালো, তবুও এই কাজ করবেন না। এতে আপনার প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হবে তার মধ্যে।
তার প্রশংসা করুন
যতটা সম্ভব শাশুড়ির প্রশংসা করুন। যখন তিনি কিছু রান্না করেন বা আয়োজন করেন তখন তার প্রশংসা জানাতে ভুলবেন না। এতেই দেখবেন শাশুড়ির মন গলে যাবে।
তার পরামর্শ নিন
জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে শাশুড়ির মতামত নিন। তার মন্তব্যকে হেলাফেলা করবেন না, বরং তাকে গুরুত্ব দিন। এতে দেখবেন শাশুড়ির সঙ্গে সঙ্গে স্বামীও আপনার প্রতি খুশি হবেন।
উপহার দিন
বিভিন্ন সময় শাশুড়িকে উপহার দিন। এতে তিনি খুশি হবেন। উপহার যত বেশি ব্যক্তিগত হবে ততই ভালো।
সব কাজে সাহায্য করুন
আপনি কর্মজীবী হলে হয়তো সব সময়ই ব্যস্ত থাকেন, তবে সময় পেলেই শাশুড়িকে কাজে সাহায্য করুন। এতে দেখবেন তার মন ভালো হয়ে যাবে। আপনি যে তার প্রতি যত্নশীল তা তিনি টের পাবেন।
আত্মবিশ্বাসী হন
শাশুড়ি আপনাকে নানা কারণে ধমক দিতেই পারেন। এতে বিচলিত হবেন না কিংবা তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করবেন না। বরং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হন ও শাশুড়ির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। দেখবেন তিনি আপনাকে নিয়ে গর্বিত হবেন।
শাশুড়িকে ‘দ্বিতীয় মা’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া সব সন্তানেরই কর্তব্য। মায়ের প্রতি ভালোবাসা জানাতেই এই দিবস পালিত হয়।